ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতের ক্ষত শুকাতে আরো কত দিন লাগবে এটা বলা খুবই মুশকিলের। আম্পানের তান্ডবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি থেকে উত্তরণের জন্য মানুষ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে যে সকল এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হেয়ছে তার মধ্যে সাতক্ষীরা অন্যতম।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কাশিমাড়ি-ঝাঁপালির প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। আর সেই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন অনন্ত কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। রাস্তা বিলীন হওয়ায় স্থানীয়রা সেখানে তৈরি করে নিয়েছে বাঁশের সাঁকো। স্থানীয় চেয়ারম্যানের উদ্যোগে সেখানকার যুব সমাজ তৈরি করেছে সেই বাঁশের সাঁকো।
আম্পানের আঘাতে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের খোলপেটুয়া নদীর ঝাঁপালি নামক স্থানটি ভেঙে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়। বর্তমানে অনেক বাড়ির উঠানে এখনো পানি বেঁধে আছে। আর জোয়ারের পানি তো আছেই। অন্যদিনে ভাটার সময় জেড়ে ওঠে গ্রাম।
জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলার কলিমাখালিতে নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত সড়কের ওপর সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। পাউবোর বেড়িবাঁধ ভেঙে শ্রীউলা ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম, খাল বিল, পথঘাট, ঘরবাড়ি ও মৎস্য ঘের প্লাবিত হয়েছে। প্রতিদিন জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। আবার ভাটায় জেগে ওঠে গ্রামগুলো।