আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুকূলে থাকায় আমের মুকুলে ভরে গেছে গাছ। আম পাতার ফাঁকে ফাঁকে মুকুল গুলো যেন গ্রাস করে নিয়েছে আম গাছের পাতাগুলোকে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে এরকম দৃশ্য কিন্তু সমস্যার বিষয় হচ্ছে এই মুকুল গুলো থেকে কী পরিমাণ আশা করা যায় প্রকৃতপক্ষে আমের মুকুল যে পরিমাণ দেখা যাচ্ছে এ পরিমাণ গাছের থাকবে না কারণ গ্রাম অঞ্চলের আবহাওয়া পরিবেশ আর ঢাকা শহরের অথবা বিভিন্ন শহরের পরিবেশ একরকম নয়।
আম চাষিরা বিভিন্নভাবে আম গাছের পরিচর্যা ও যত্ন নিয়ে থাকেন অন্যদিকে শহরের জন্মানো গাছ গুলোর পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া হয়না। ফলে আম গাছের আমের মুকুলের পরিমাণ অনুযায়ী আম ধরে না। আম চাষিরা বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় আম গাছের পরিচর্যা ও যত্ন নিয়ে থাকেন কিন্তু শহরের আম গাছ গুলোর এরকম কোন পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া হয় না ।
শহরে অবস্থিত আম গাছগুলোর গোড়ায় বিভিন্ন ধরনের ময়লা আবর্জনার স্তূপে ভরে থাকে যা বিভিন্নভাবে আমতলা থেকে বিরত রাখে। শহরের গাছগুলোর দিকে তাকালেই দেখা যায় মহিলার আবরণের চিত্র যানবাহন শিল্প কলকারখানার ধোঁয়া আর বিষাক্ত বায়ুমণ্ডলের কারণে এসকল আম গাছে আম ধারণক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। গাছের গাছের বারণ ও ফল ধারণ ক্ষমতার জন্য মাটিতে যে পরিমাণ উপাদান থাকার প্রয়োজন তার বেশিরভাগ উপাদানই ঘাটতি থাকে শহরের মাটিতে।
শহরের গাছপালা গুলোর সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া গেলে এসকল গাছ থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব। বর্তমানে শহরে অবস্থিত বাড়ির ছাদে বারান্দায় সহ বিভিন্ন স্থানে ফল ও ঔষুধি গাছ লক্ষ্য করা যায় কিন্তু যে গাছগুলো আকৃতিতে বড় হয় সে কাজগুলোর পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া একটু কঠিন বিষয় অথবা এখানে ইচ্ছার অভাব রয়েছে অর্থাৎ যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এ সকল গাছের সঠিক পরিচর্যা করা যায় তাহলে হয়তো এসকল গাছ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আশানুরূপ ফল পাওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
তাই আমাদের উচিত শহরের গাছপালা গুলোর সঠিক পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়া।