মোঃ রাজিবুল ইসলাম (রাজিব): আজ বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের ৫০তম বছর চলছে। পালিত হচ্ছে ধরিত্রী দিবসের ৫০তম বছর। আমাদের পরিবেশ আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। অবশ্য প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংসের জন্য আমরাই তো দায়ি। পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা অনেকই হয়তো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। কিন্তু পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য পদক্ষেপ একটু বেশিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে পরিবেশ আর প্রকৃতি আমাদের প্রয়োজন সেই পরিবশে আর প্রকৃতিই আমরা ধ্বংস করছি প্রতিনিয়ত।
প্রতি বছরের ২২ এপ্রিল সারাবিশ্ব ব্যাপী পালিত হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। ধরিত্রী দিবস সর্বপ্রথম পালিত হয় ১৯৭০ সালে। মার্কিন সিনেটর গেলর্ড নেলসন এই ধরিত্রী দিবসের প্রচলন করেন। এ বছর ধরিত্রী দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘ক্লাইমেট একশন’।এই দিবসটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখা। যারা জানেন না তারা অনেকই হয়তো ভাবছেন ধরিত্রীর পরিবর্তে পৃথিবী কেন ? যারা জানেন না তাদের জন্য জানিয়ে রাখছি যে, ধরিত্রী শব্দটি মূলত এসেছে ধরনী বা ধরা থেকে আর এই ধরনী বা ধরা অর্থ হলো পৃথিবী। হ্যা পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্যই এই দিবসটি পালিত হয়। যদিও বর্তমানে পরিবেশ ও প্রকৃতি রক্ষার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন চলছে সারা বিশ্ব ব্যাপী।
প্রতিবছর ধরিত্রী দিবস পালন আর এ বছর ধরিত্রী দিবস পালনের মধ্যে একটি বিশেষ পার্থক্য রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে মানুষ আর ঘরবন্ধী অবস্থায় জীবনযাপন করছে। তবে সাময়িক ঘরবন্ধী থাকার কারণে সত্যিই প্রকৃতি সেজেছে নিজের আপন মনে। কিন্তু তবুও পৃথিবীর সবকিছুই তো মানুষের জন্য।
পরিবেশ সংরক্ষণ করা কোন কঠিন বিষয় বলে মনে হয় না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নেতারা যদি একটু সুদৃষ্টি দেয় তাহলে পরিবেশ ধ্বংসের পরিবর্তে পরিবেশ ভালোভাবেই সংরক্ষণ হবে বলে আশাবাদী সাধারণ মানুষ। প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংসের জন্য বেশি মানুষ দায়ি নয়। এই শ্রেণিতে কিছু স্বার্থবাদী মানুষ দায়ি।