28 C
ঢাকা, বাংলাদেশ
সকাল ৭:০৭ | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ বঙ্গাব্দ
গ্রীন পেইজ
আবহাওয়া পূর্বাভাস

আগামীকাল থেকে ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

বৃষ্টি আর বন্যা দুটি একযোগে দেশের উত্তরাঞ্চলে আবারও আঘাত করেছে। কুড়িগ্রাম ও নাটোরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে বন্যা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কাল শনিবারের মধ্যে সিলেট বিভাগের বেশ কয়েকটি স্থানে বন্যার ঢল আসতে পারে। বাংলাদেশের উজানে ও দেশের ভেতরে তিনটি বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।

এসব তথ্য ও পূর্বাভাস জানিয়ে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, এই বন্যা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে ধরলা, তিস্তা ও সিলেট অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল থেকে বন্যার পানি নেমে যেতে পারে।

গত সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলের ধরলা নদীর পানি বেড়ে কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। তারপর তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রের পানিও বাড়তে শুরু করেছে। এই পানি নামবে মেঘনা ও পদ্মা হয়ে। ফলে সপ্তাহের শেষের দিকে ওই দুই নদী অববাহিকার পানি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে মূলত পদ্মার দুই পাড়ে ভাঙন বাড়তে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, হঠাৎ করে উজানে এবং বাংলাদেশের ভেতরে বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে উত্তরাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটি খুবই স্বল্পস্থায়ী হবে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পানি নেমে যাবে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আগামী দুই-তিন দিনের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার থেকে রংপুর-রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগেও বৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আকাশ মেঘলা থাকায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। ফলে হালকা শীত শীত অনুভূত হতে পারে।

এদিকে আজ শুক্রবার দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীতে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এই হঠাৎ বৃষ্টি ও বন্যায় আমনের আরেক দফা ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের শেষ সপ্তাহ চলা বন্যার কারণে আমনের বীজতলার প্রায় পুরোটাই ডুবে গিয়ে নষ্ট হয়। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে এসব জেলার কৃষকেরা বোনা আমনের চাষ শুরু করেন। কিন্তু কুড়িগ্রামসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার নিম্নাঞ্চলে আবারও বন্যার পানি চলে এসেছে। ফলে এসব এলাকার আমন ফসল আবারও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

“Green Page” কে সহযোগিতার আহ্বান

সম্পর্কিত পোস্ট

Green Page | Only One Environment News Portal in Bangladesh
Bangladeshi News, International News, Environmental News, Bangla News, Latest News, Special News, Sports News, All Bangladesh Local News and Every Situation of the world are available in this Bangla News Website.

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই স্কিপ করতে পারেন। গ্রহন বিস্তারিত