তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অপার সৌন্দর্যে ঘেরা ‘টিউলিপ ফুলের কার্পেট’ ও ‘বসফোরাস ক্রুজ’।এ যেন প্রকৃতির এক অনন্য নিদর্শন।
‘টিউলিপ ফুলের কার্পেট’ এর অপার সৌন্দর্য
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রয়েছে ঐতিহাসিক ব্লু মসজিদ।যার সামনে রয়েছে রঙ বেরঙের অসংখ্য টিউলিপ ফুল।কাছ থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন টিউলিপ ফুলের কার্পেট।তাই তো ব্লু মসজিদটির সামনে বিশাল বড় সাইনবোর্ডে ইংরেজি ও তুর্কি ভাষায় লেখা রয়েছে ‘দি লার্জেস্ট কার্পেট অব টিউলিপ অব দি ওয়ার্ল্ড ইন সালতানাত।টিউলিপ তুরস্কের জাতীয় ফুল। এপ্রিলে এ ফুল ফোটে।
লাল,হলুদ,সাদা ও মেরুনসহ নানা রংয়ের টিউলিপ ফুলের কার্পেট এতটা সুন্দর যা চোখে না দেখলে সত্যিই বিশ্বাস করা কঠিন।ফুলের এই অপার সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে প্রতিবছর এখানে পর্যটকরা ভিড় জমায়।পর্যটকদের সুষ্ঠুভাবে টিউলিপ ফুল দেখার সুযোগ করে দিতে দুপাশে উচু মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।পর্যটকরা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশ উপভোগ করে আর স্মৃতিটুকু ক্যামেরাবন্দি করে রাখে।
তুরস্কে মোট চারটি ঋতু। এপ্রিল ও মে মাসে টিউলিপ ফুল ফুটে। এ সময় আবহাওয়া খুবই ভালো থাকে।গরমও না ঠাণ্ডাও না।প্রতি বছর ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক টিউলিপ উৎসব হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা এ সময় টিউলিপ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইস্তাম্বুলে ছুটে আসে।
ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন স্থানে,পথেঘাটেও নানা রঙের টিউলিপ ফুল দেখা যায়।
‘বসফোরাস ক্রুজ’ এর স্নিগ্ধ মনোরম পরিবেশ
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের বসফোরাসে সাগরের তীর ঘেঁষে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা কয়েকশ বছরের পুরনো রাজপ্রাসাদের মহলের মতো বাড়িগুলো ইতিহাসের অনন্য নিদর্শন।এখানেই গড়ে উঠেছিল সুলতান সুলেমানের রাজপ্রাসাদ।এখনও রাজপ্রাসাদের তীরে দাঁড়িয়ে এর অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
সাগরের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শত বছরের পুরনো এ বাড়িগুলো দেখলে যে কেউ এর প্রেমে পড়ে যাবে।সারাজীবন থাকার বাসনা মনের মাঝে উঁকি দিবে।কিন্তু সত্য এটাই যে এখানকার একেকটা বাড়ির মূল্য একশ মিলিয়ন ডলার বা তার বেশি হয়ে থাকে।
প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এখানে এসে এর স্নিগ্ধতা উপভোগ করে।পর্যটকরা এখানে জাহাজে করে এসে এর দু’পাড়ের শত বছরের পুরনো বাড়িঘর, নীলপানি, পাহাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা প্রাসাদসম বাড়িগুলোর অপার সেন্দৈর্য দুচোখ ভরে দেখে।সাধারণত এপ্রিল-মে মাসের চমৎকার মৃদু হিমেল হাওয়ায় শরীর ও মন জুড়াতে পর্যটকরা ভিড় জমায় এখানে।
শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয় বরং জাহাজগুলোর আপ্যায়ন ব্যবস্থাও মুগ্ধ করে পর্যটকদের।জাহাজগুলোতে তুরস্কের বিখ্যাত কাবাব, সালাদ, চা, কফি, জুস, স্যান্ডউইচসহ নানা মুখরোচক খাবার আপ্যায়ন করা হয়।